মাইকেল মধুসূদন দত্ত / Michael Madhusudan Dutta jiboni ( 1824-1873)

 

মাইকেল মধুসূদন দত্ত / Michael Madhusudan Dutta jiboni ( 1824-1873)



Maikel modhusudon dutta bron


মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত ১৮২৪ সালের ২৫ শে জানুয়ারি যশোর জেলার কপোতাক্ষ নদীর তীরে সাগরদাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ছিল রাজনারায়ণ দত্ত এবং মাতার নাম ছিল জাহূবী দেবী। (Maikel modhusudon jiboni)


Maikel modhusudon father's and mother's name 

মধুসূদনের পিতা রাজনারায়ন দত্ত ছিলেন পেশায় কলকাতা দেওয়ানী আদালতের একজন স্বনামধন্য আইনজীবী। মায়ের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে মধুসূদনের বাল্য শিক্ষার সূচনা হয়। 


কবির বয়স যখন সাত বছর তখন তারা কলকাতার খিদিরপুরে বসবাস করেন। ১৮৩৩ সালে মধুসূদন কলকাতার হিন্দু কলেজের জুনিয়র স্কুলে ভর্তি হন। মধুসূদন ছিলেন বরাবরই অনেক মেধাবী। জুনিয়র স্কুল শেষ করে ১৮৪১ এ তিনি হিন্দু কলেজের সিনিয়র বিভাগে ভর্তি হন। ( Michael Madhusudan Dutt life )


১৮৪৩ সালে ইংরেজি ভাবধারায় অনুপ্রাণিত হয়ে কবি বাংলা ভাষার প্রতি অনীহা প্রকাশ করে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেন। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৯বছর। খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণের পর মধুসূদনের নামের পূর্বে মাইকেল শব্দ যোগ হয়।


 মধুসূদন খ্রীষ্ট ধর্ম গ্রহণ করলে তাকে হিন্দু কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়। এ সময় পরিবারেরও বিচ্ছেদ ঘটে। ১৮৪৩ সালে হিন্দু কলেজ ত্যাগ করার পর মধুসূদন শিবপুরের বিশ্পস কলেজে ভর্তি হন। এখানে এসে মধুসূদন গ্রিক, ল্যাটিন ও সংস্কৃত ভাষায় শিক্ষা লাভ করেন। 


পরবর্তীতে মধুসূদন আর্থিক সংকটে পড়লে কলকাতা ত্যাগ করে তিনি মাদ্রাজে (১৮৪৮ )গমন করেন। পরে সেখানে একটি অনাথ স্কুলের স্বল্প বেতনের শিক্ষকতা শুরু করেন। পরবর্তীতে ১৮৫২ সালে মধুসূদন মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হাই স্কুল শাখায় শিক্ষকতা শুরু করেন। মাদ্রাজে তিনি 'দৈনিক সেপকটেটর' সহকারী সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেন। মাদ্রাজে প্রবাস কালে মধুসূদন -  হিব্রু, ফরাসি,  জার্মানি, ইটালিয়ান,  তামিল ও তেলেগু ভাষায় পারদর্শিতা অর্জন করেন। মাইকেল মধুসূদন দত্তের খ্রিস্টধর্ম গ্রহণের মূলে ছিল ইংল্যান্ড যাবার বাসনা।  


মধুসূদন ১৮৪৮ সালে " The capative ladie এবং  Vision of the past" নামে দুটি ইংরেজি কাব্যগ্রন্থ রচনা করেন। 


মধুসূদন ১৮৪৮ সালে রেবেকা টমসন নামে এক ইংরেজ মহিলাকে বিয়ে করেন। পরে ১৮৫৬ সালে হেনরিয়েটা নামে এক ইংরেজ কন্যাকে বিয়ে করেন।  ( Michael Madhusudan Dutta wife's )


১৮৫৬ সালে মধুসূদনের পিতা রাজনারায়ণ দত্তের মৃত্যু হলে মধুসূদন মাদ্রাসা থেকে কলকাতায় ফিরে আসেন। মাইকেল মধুসূদন দত্ত ১৮৬২ সালের ৯ জুন ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য ইউরোপে গমন করেন।


 ১৮৬৩ সালে লন্ডন থেকে তিনি ফ্রান্সে চলে যান। ফ্রান্সের ভার্সাই নগরীতে অবস্থানকালে কবি ইটালিয় কবি  পেত্রার্ক এর  অনুকরণে চতুষ্পদী কবিতাবলি ১৮৬৬  সালে রচনা করেন। ১৮৬৬ সালের লন্ডনের গ্রেজ ইন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যারেস্টারি ডিগ্রী অর্জন করেন।  (Michael Madhusudan Dutta sonnet )


১৮৬৭ সালে আর্থিক কষ্ট দেখা দিলে তিনি আবার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। পরে কলকাতার হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে যোগ দেন। আইন পেশা ছেড়ে দিয়ে ১৮৭০ সালের কলকাতার হাইকোর্টের অনুবাদ বিভাগের পরীক্ষকের চাকরি নেন। দুই বছর পর  তিনি আবার ব্যারিস্টারি পেশায় যোগদান করেন। 


মধুসূদনের শেষ জীবন অনেক দুঃখ কষ্টে কাটে। ১৮৭৩ সালে ২৯ জুন কবি কলকাতার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।  ( Maikel modhusudon Dutta death)



মধুসূদনের সাহিত্যকর্ম: 

কাব্যগ্রন্থ: The Capative Ladie ( ১৮৪৮)

 মেঘনাদবদ কাব্য ( ১৮৬১), বীরাঙ্গনা (১৮৬২), ব্রজাঙ্গনা ( ১৮৬১), চতুষ্পদী কবিতাবলি (১৮৬০),  ( Maikel modhusudon dutta sonnet )


নাটক: শর্মিষ্ঠা (১৮৫৯), একেই কি বলে সভ্যতা ( ১৮৬০), বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ ( ১৮৬০), পদ্মাবতী (১৮৬১ ), কৃষ্ণকুমারী ( ১৮৬১), 

read also

Next Post
No Comment
Add Comment
comment url