BD news বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা | Bangladesh economy 2022
বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা | Bangladesh economy 2022 bd news, bd bangla news, daily news
বাংলাদেশের অর্থনীতি:
এখন সবার মনে একটাই প্রশ্ন, বাংলাদেশের অর্থনীতি কি ঠিক পথে চলছে? সরকার অনেক পদক্ষেপ নিচ্ছে ডলারের মান স্থিতিশীল রাখার জন্য। কিন্তু তাতে কি কোন লাভ হচ্ছে? গত এক বছরের টাকার মান কমেছে ২৩ শতাংশ। এভাবেই যদি টাকার মান কমতে থাকে তাহলে বাংলাদেশের অর্থনীতি কোথায় গিয়ে ঠেকবে? ধারণা আছে আপনার। Bangladesh economy
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বৈশ্বিক মন্দার প্রভাব:
বাংলাদেশে প্রধান দুইটি বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের উৎস হলো (1) রপ্তানি এবং (2) রেমিট্যান্স। দুর্ভাগ্যক্রমে বৈশ্বিক অর্থনীতি মন্দার ফলে গত অক্টোবরে রপ্তানি এবং রেমিটেন্স থেকে আয় কমেছে। এরই পেক্ষিতে অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা করছেন যে, বাংলাদেশের অর্থনীতি নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, রপ্তানি কমে যাওয়া মানে আমদানি ও কমে যাবে। আমদানি কম হলে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের চাপ কিছুটা কমবে কিন্তু বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এর সামগ্রিক প্রভাব ভালো হবে না।
বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান ইউএন বিকে বলেন যে, " দেশীয় অর্থনীতি বিশ্ব অর্থনীতির উত্থান পতনের সঙ্গে ওতোপ্রত ভাবে জড়িত"। তাই উন্নত দেশগুলোর মন্দার কারণে, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে বা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
অর্থনীতিবিদ মুস্তাফিজুর রহমান আরো বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়া উচিত। রেমিট্যান্স বাড়লে এটি এই সময়ের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের একটি ভালো উৎস হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশীয় সম্পদ সংগ্রহ বাড়ানো এবং খাদ্য উৎপাদনে মনোযোগ দেওয়া উচিত। কারণ মন্দার সময় বাংলাদেশের অর্থনীতিকে স্থিতিস্থাপক হতে সাহায্য করবে।
অপরদিকে আরেক অর্থনীতিবিদ ডক্টর মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক ইউএনবিকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় অর্থনীতি মন্দার কারণে বাংলাদেশে রপ্তানি আয় বাড়বে না।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় রপ্তানি এবং রেমিট্যান্স সহ দেশীয় অর্থনীতির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না।
এই প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, আমদানির চাহিদা রপ্তানির সূত্রে পড়েছে তাই বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হবে না। এখন সরকারের উচিত প্রকল্প ব্যয় কমিয়ে দিয়ে, বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহে জোর দেওয়া।
গত অক্টোবরে বাংলাদেশ মাত্র ৪ দশমিক ৩৫৬ বিলিয়ন ইউ এস ডলারের পণ্য ও সেবা রপ্তানি করেছে। ইউক্রেন এবং রাশিয়ার যুদ্ধ ছাড়া ও বৈশ্বিক মন্দার কারণেই এটার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে। গত চার মাসের তুলনায় অক্টোবরের রপ্তানি আয় সবচেয়ে কম।
গত বছরের অক্টোবরের তুলনায় এ বছর অক্টোবরে রপ্তানি আয় কমেছে ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ। সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর এই দুই মাসে রপ্তানি আয় কমেছে গত বছরে তুলনায় অনেকটাই।
অথচ অক্টোবরে সরকারের বৈদেশিক রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ছিল ৫ বিলিয়ন ইউএস ডলার। কিন্তু বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ৪ দশমিক ৩৫৬ বিলিয়ন ইউএস ডলার। যা কিনা লক্ষ্যমাত্রার থেকেও ১২ দশমিক ৮৭ শতাংশ কম।
এর প্রধান কারণ হিসেবে অর্থনীতিবিদরা দায়ী করছেন ইউক্রেন - রাশিয়ার যুদ্ধকে।
অপরদিকে, ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের দেশগুলোতে মুদ্রাস্ফীতি অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। এই মুদ্রাস্ফীতির ফলে ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্র কাপড় কেনা কমিয়ে দিয়েছে এবং খাদ্যের পিছনে বেশি ব্যয় করছে। এর ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রপ্তানি আয়ের প্রভাব পড়েছে।
এর ফলেই গার্মেন্টস শিল্পের মালিকরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।
Bd economy